রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাপার কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাপার কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

কালের খবর প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থিত জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাপা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলাও করেছে দলটি। ছাত্রলীগ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, হামলাকারীরা কার্যালয়ের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল এমনকি সিলিংফ্যানও ভাংচুর চালায়। দুস্কৃতিকারিরা দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং এরশাদের উপদেস্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে।
কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী দোকানিরা বলেন, শনিবার রাতে হঠাৎ করে কয়েকজন যুবক এসে বিল্ডিংয়ের ৩ তলায় অবস্থিত জাপার কার্যালয়ে ভাংচুর চালাতে থাকে। এসময় আশেপাশে আতংক সৃষ্টি হয়। আমরা ভয়ে সবাই যার যার দোকন-পাট বন্ধ করে দেই।

সদর জাপা সভাপতি জেনহারুল ইসলাম বিবার্তাকে জানান, ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের জেলা কার্যালয়ে হামলা চালায়। যারা হামলা চালিয়েছে তার সবাই চিহ্নিত।
ঘটনার পরপরই জেলার নাসিরনগরে উপ-নির্বাচনের প্রচারে অবস্থানরত এরশাদের উপদেস্টা হামলার খবর শুনে দ্রুত জেলা কার্যালয়ে আসেন। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেন তারা।

রবিবার দুপুরে জেলা জাপার কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানান রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। এসময় রেজাউল ভাংচুর করা চেয়ার, ফ্যান, কম্পিউটার এবং আসবাবপত্র সাংবাদিকদের দেখান।
হামলার প্রতিবাদে রবিবার বিকালে জেলা প্রতিটি থানায় বিক্ষোভে কর্মসূচির ডাক দেয় জেলা জাতীয় পার্টি।
বিকালে জেলা জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। প্রতিবাদ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, যারা এই ন্যক্কারজনক হামলা করেছে তারা দেশে সহনশীল পরিবেশ চায় না। তারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা অন্যদলের এজেন্ট। এরা মহাজোটকে অকার্যকর করে নিজেদের ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। আমরা অবিলম্বে এই হামলার বিচার চাই।
প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা নেতা ওয়াহেদুল হক ওয়াহেবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেস্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভ‚ইয়া, জেলার সদস্য সচিব কাজী মামুনুর রশিদ, জেলা নেতা হাজী জমসেদ, মনির হোসেন দেলোয়ার, নাসির আহমেদ খান, আবু কাওছার খান, জেনহারুল ইসলাম প্রমুখ।
হামলা প্রসঙ্গে রেজাউল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আমি প্রত্যক্ষদর্শী এবং দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কায়দায় পল্লীবন্ধু এরশাদের কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়েছে। কার্যালয়ে হামলার বিষয়টি নিয়ে জেলা জাপা নেতা সৈয়দ মোক্কাবের বাদী হয়ে মামলাও করেছেন বলে তিনি জানান। বিষয়টি দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্ম এরশাদ এরশাদ এবং মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে জানিয়েছি। তাছাড়া এ হামলার প্রতিবাদে জেলা জাতীয় পার্টি ৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি বিষটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে সত্যিকারের দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনবো।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেল হামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী এ হামলার সাথে জড়িত নন।

কালের খবর প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থিত জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাপা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলাও করেছে দলটি। ছাত্রলীগ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, হামলাকারীরা কার্যালয়ের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল এমনকি সিলিংফ্যানও ভাংচুর চালায়। দুস্কৃতিকারিরা দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং এরশাদের উপদেস্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে।
কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী দোকানিরা বলেন, শনিবার রাতে হঠাৎ করে কয়েকজন যুবক এসে বিল্ডিংয়ের ৩ তলায় অবস্থিত জাপার কার্যালয়ে ভাংচুর চালাতে থাকে। এসময় আশেপাশে আতংক সৃষ্টি হয়। আমরা ভয়ে সবাই যার যার দোকন-পাট বন্ধ করে দেই।

সদর জাপা সভাপতি জেনহারুল ইসলাম বিবার্তাকে জানান, ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের জেলা কার্যালয়ে হামলা চালায়। যারা হামলা চালিয়েছে তার সবাই চিহ্নিত।
ঘটনার পরপরই জেলার নাসিরনগরে উপ-নির্বাচনের প্রচারে অবস্থানরত এরশাদের উপদেস্টা হামলার খবর শুনে দ্রুত জেলা কার্যালয়ে আসেন। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেন তারা।

রবিবার দুপুরে জেলা জাপার কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানান রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। এসময় রেজাউল ভাংচুর করা চেয়ার, ফ্যান, কম্পিউটার এবং আসবাবপত্র সাংবাদিকদের দেখান।
হামলার প্রতিবাদে রবিবার বিকালে জেলা প্রতিটি থানায় বিক্ষোভে কর্মসূচির ডাক দেয় জেলা জাতীয় পার্টি।
বিকালে জেলা জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। প্রতিবাদ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, যারা এই ন্যক্কারজনক হামলা করেছে তারা দেশে সহনশীল পরিবেশ চায় না। তারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা অন্যদলের এজেন্ট। এরা মহাজোটকে অকার্যকর করে নিজেদের ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। আমরা অবিলম্বে এই হামলার বিচার চাই।
প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা নেতা ওয়াহেদুল হক ওয়াহেবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেস্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভ‚ইয়া, জেলার সদস্য সচিব কাজী মামুনুর রশিদ, জেলা নেতা হাজী জমসেদ, মনির হোসেন দেলোয়ার, নাসির আহমেদ খান, আবু কাওছার খান, জেনহারুল ইসলাম প্রমুখ।
হামলা প্রসঙ্গে রেজাউল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আমি প্রত্যক্ষদর্শী এবং দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কায়দায় পল্লীবন্ধু এরশাদের কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়েছে। কার্যালয়ে হামলার বিষয়টি নিয়ে জেলা জাপা নেতা সৈয়দ মোক্কাবের বাদী হয়ে মামলাও করেছেন বলে তিনি জানান। বিষয়টি দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্ম এরশাদ এরশাদ এবং মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে জানিয়েছি। তাছাড়া এ হামলার প্রতিবাদে জেলা জাতীয় পার্টি ৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি বিষটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে সত্যিকারের দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনবো।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেল হামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী এ হামলার সাথে জড়িত নন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com